সংবাদচর্চা রিপোর্ট:
রূপগঞ্জ উপজেলার তারাব পৌরসভার রূপসী মীর বাড়িতে নিজ ঘর থেকে সুমন (৩৩) নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত বৃহষ্পতিবার মামলা টি করেছেন নিহতের মামা আকবর মীর। গত বুধবার (৮ মে) বিকালে সুমনের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত সমুনের স্ত্রী সোনিয়া ও শাশুরি কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ । গ্রেফতারকৃতদের নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
সমুন মুড়াপাড়া এলাকার জালাল মিয়ার ছেলে। তার এক ছেলে আহাদ (৩) এক মেয়ে মানিহা (৫) রয়েছে ।
সুমনের লাশ উদ্ধার করার সময় তার রুম থেকে রক্তমাখা একটি বটি একটি ছুড়ি একটি লুঙ্গি একটি দুই টি কাগজের চিঠি পাওয়া গেছে। চিঠিতে লেখা আছে সোনিয়া আমি তোমায় মুক্ত করে দিয়ে গেলাম ভাল থেকে বাই..।এছাড়া চিঠিতে উল্লেখ আছে সুমনের স্ত্রী ও সন্তানদের নাম।
লাশ উদ্ধারের সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন, রূপগঞ্জ থানার এস আই মনজুর। তিনি বলেন, প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটা আতœহত্যা । তবে পরিবারিক দ্বন্দ্ব ছিলো। ময়না তদন্তের রিপোর্ট থেকে সুমনের মৃত্যুর কারণ বেড়িয়ে আসবে।
জানা গেছে ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসতে সময় লাগবে সাত দিন।
এছাড়া সরেজমিনে দেখা গেছে মৃত সমুনের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করার সময় তার ঘরে রক্তের দাগ ছিটিয়ে ছিলো একাধিক স্থানে।
নিহত সুমনের মামা আকবর হোসেন জানান, বুধবার সকালে ভাগিনা সুমনকে দোকানে দেখতে না পেয়ে তার ঘরে ডাকাডাকি করে। ডাকে সারাশব্দ না পেলে আকবর হোসেন সুমনের ঘরে গিয়ে তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায়। নিহত সুমনের পরিবারের দাবী পূর্ব পরিকল্পিতভাবে সুমনকে হত্যা করে তার লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।